মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাতক্ষীরা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার।
আবারও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিরাজুল ইসলাম পল্টুর বিরুদ্ধে জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, কার্ডধারীদের মধ্যে যে পরিমাণ চাল দেওয়ার কথা ছিল (প্রতি কার্ডে ১৪ কেজি), সেখানে অনেককে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৯ থেকে ১০ কেজি করে।
এই অনিয়মের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু সচেতন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হন। তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে সরাসরি বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে চাপের মুখে স্বীকার করেন যে, কার্ডধারী ছাড়াও কিছু লোকের চাউল দিতে হয় , তাদের দিতেই চাউল কিছুটা কম দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন চাল কম দেওয়ার বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং সরাসরি উপজেলা মৎস্য অফিসার মহোদয়কে ফোনে অবগত করেন। তিনি দ্রুত মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে পুরো পরিস্থিতি নিজের চোখে পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিস্থিতি জেনে মৎস্য অফিসার চেয়ারম্যানকে অনিয়ম স্বীকার করতে বলেন এবং জানান, প্রকৃত জেলেরা যাতে পুরো পরিমাণ চাল পান তা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করা হয় এবং পুনরায় সঠিকভাবে বিতরণ শুরু হয়।স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, “আমরা জানতে চাই ১২৯৩ জন কার্ডধারীর বাইরে যাদের চাল দেওয়া হয়েছে, তারা কারা? তারা কি প্রকৃত জেলে বাউলি, নাকি রাজনৈতিক সুবিধাভোগী?”
তারা আরও বলেন, বছরের পর বছর জেলে কার্ডের চাল নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে। অযোগ্য লোকজন চাল পাচ্ছে আর প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি তদন্ত করে চালের হিসাব ও অতিরিক্ত বিতরণপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করা হোক। তারা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন, যদি প্রশাসনের নজরদারি না থাকত তাহলে চাল আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যেত।
জনগণ আশা করছেন, এবার অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ সরকারি ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করতে না পারে।