নিজস্ব প্রতিনিধ:
সাতক্ষীরার আশাশুনির ছাত্র আবুল বাসার আজম হত্যা মামলার আসামি শোকর আলী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
মামলার ২৪ নাম্বার আসামি শোকর আলী সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে। পৈতৃক বাড়ি যশোর।
জানাযায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ছাত্র জনতা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছালে জাকির মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় আমার চাচাতো শ্যালক কল্যানপুর গ্রামের নূর হাকিম ঘোরামীর ছেলে আবুল বাশার আদম (২২) মারা যায়। এ ঘটনায় উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের হাজী মিনাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং সি,আর ৩৩০/২৪(আশাশুনি)। বিচারক দাখিল কৃত নালিশী দরখাস্তটি এজাহার হিসাবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য আশাশুনি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ওই মামলায় অনেক আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করলেও শোকর আলী রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, জেলা শ্রমিকলীগ এর সেক্রেটারি (বিবিসি)এর ছত্রছেয়াই শোকুর আলী কালিগঞ্জ উপজেলা শ্রমকলীগের সদস্য, হয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল, মাদক, ডাকাতি, ইভটিজিং সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
উল্লেখ্য, দেভাটা এলাকার এক স্কুল ছাত্রী জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাকে ধরে প্রশাসন এক বছরের সাজা দেয় ও এছাড়াও অন্য ঘটনার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
৫ আগস্ট পরবর্তীতে ছাত্র জনতা মিছিলে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা একাধিক ছাত্র আহত গুলিবিদ্ধ ঘটনায় মামলার আসামি হয়েও হয়েও সে চালিয়ে যাচ্ছে তার অপকর্ম দেখার কেউ নেই। কিছুদিন আগে তার সহযোগ মাসুরা পারভিনকে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ ডাকাতির ঘটনায় নাটকের পর কিছুদিন পলাতক ছিল, আবারো সে সক্রিয় হয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছ মাছুরার সহযোগী হিসেবে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এতো অপকর্ম করার পরেও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে শোকর আলী।
হত্যা মামলার আসামি শোকর আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।