মাহবুব রহমান, রাজশাহী জেলা স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী তানোর উপজেলা ৩ নং পছন্দর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের কচুয়া একটি গ্রামের নাম। ইউনিয়নে এই কচুয়া অঞ্চলটিতে প্রায় চার হাজার লোকজনের বসবাস। এখানকার মানুষগুলো আগে বেহাল দশা কাঁচা রাস্তা কাঁদার ভিতর দিয়ে চলাফেরা করতো । নতুন রাস্তা নির্মান হওয়ায় তারা এখন আনন্দিত।
বিগত বছরগুলোতে কোনো জনপ্রতিনিধিরা উক্ত রাস্তাটি নির্মান করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর।
অবশেষে ৭নং ওয়ার্ড এর স্থায়ী বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেনের, উদ্যোগে এলাকা বাসী পেয়েছে তাদের স্বপ্নের এই রাস্তা। নতুন রাস্তা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।
জানা যায়, রাস্তা না থাকায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হতো তাদের। রাস্তা না থাকায় কৃষি পণ্যের সঠিক মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন কৃষকেরা। রাস্তা কাঁচা থাকার জন্য কৃষি ফসল গুলো মাথায় করে জমির আইল ধরে নিয়ে যেতো হতো বাজারে। বর্ষার সময় বিকল্প পথ জমির আইল ধরে যেতে হতো । শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হতো নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। বর্ষা মৌসূমে চলাচলের দুর্ভোগ বেড়ে যেতো দ্বিগুন।
এলাকার প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার, বলেন আমাদের ৭ নং ওয়ার্ড কচুয়ায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সকল শিক্ষকরা এক কিলোমিটার দূরে গাড়িগুলো গ্যারেজ করে পাঁয়ে হেঁটে আসতো এবং স্কুল প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী শিক্ষকরা অনেক কষ্ট পেয়েছেন এ রাস্তার জন্য ।
এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব তমির উদ্দিন কাজী বলেন, বর্ষার মৌসুমে এতোদিন কাঁচা কাঁদা রাস্তা থাকাই বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়ালি কাজকর্মে আমাদের উপজেলা, ইউনিয়ন অথবা থানায় যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এখন রাস্তা হওয়ায় সহজেই আমরা যাতায়াত করতে পারছি। কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে কষ্ট হতো। রাস্তা হওয়ায় সহজেই একজন অসুস্থ মানুষকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে পারছি।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা সবির উদ্দিন কাজী, বলেন স্বাধীনতার পর থেকেই এই পথ দিয়ে গ্রামবাসীরা চলাচল করতো। কিন্তু কোনো রাস্তা নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ শেষে যখন রূপান্তরিত হয় তখন উক্ত অঞ্চলটি ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হয়। পর পর কয়েকবার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর সদস্য মেম্বার পরিবর্তন হলেও উক্ত রাস্তা নির্মানে ভাগ্য অপরিবর্তিতই থাকে।
রাস্তা কাঁচা বেহাল অবস্থা ছিল বলে , এক মণ ধান বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হতো । মাথায় করে জমির আইল ধরে ধান নিতে হতো। রাস্তা হওয়ায় এখন সহজেই যেকোনো কাজ করতে পারছি।একজন মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয়া যেতো না। রাস্তা হওয়ায় সহজেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছি। স্থানীয় আমির, মাওলানা আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা আমিরকে তারা ধন্যবাদ জানায়।
গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার বলেন, ৮০ বছরেও এলাকা এই অবহেলিত রাস্তার উন্নয়ন হয়নি। আমাদের উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন, আমাদের যে উপকার করেছেন তা আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে যারা এই এলাকায় আসতো না এবং ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়া ছিলো বড় প্রতিবন্ধকতা। রাস্তা হওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম এই কাঁচা কাদো রাস্তার জন্য জমির আইল ধরে স্কুলে যেতাম।এই রাস্তা হওয়ায় আমাদের ছোট ভাইরা এখন নব নির্মিত রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে পারছে। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেলে রাস্তা নেই বলে বিয়ের কাজ ভেঙ্গে যেতো। রাস্তা হওয়ায় এখন আর এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।
৩নং পাঁচন্দর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড স্থায়ী,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তানোর উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন এর মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষিত ভালবাসার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এবং সরকারী অনুদানে ২০০০, ফিট রাস্তাটি নির্মাণ নির্মাণ পাঁকা রাস্তা করা হয়েছে। জনগণ সুফল ভোগ করলেই নতুন পাঁকা রাস্তা স্বার্থকতা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।