সমারেশ রায়, কলকাতা প্রতিনিধি
আজ ৩০শে আগস্ট শনিবার, ঠিক দুপুর একটায়, ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে, কনস্টিটিউশন প্রটেকশন ফোরাম এর উদ্যোগে, চার দফা দাবী নিয়ে, তিনদিনের ধর্ণামঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নাওসাদ সিদ্দিকী, কামারুজ্জামান, হুমায়ূন আমীর সহ অন্যান্যরা।
এই ধর্ণামঞ্চ চলবে ৩০শে আগস্ট,৩১শে আগস্ট ও ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন বেলা একটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত।
সকাল থেকেই মেঘ কালো করে বৃষ্টি, আর বৃষ্টির মধ্যেই বেলা দুটো নাগাদ উদ্বোধনী ভাষণের মধ্য দিয়ে আজকের ধর্ণামঞ্চের শুভ সূচনা , প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে সভা শুরু হলেও কেউ কিন্তু তাতেও একটা চেয়ার ছেড়ে উঠে না , দলের নির্দেশ মতো বসে ভিজতে থাকেন, কাউকে আবার মাথায় চেয়ার উল্টিয়ে নিয়ে বসে থাকতেও দেখা গেছে।
তাহাদের চার দফা দাবী হলো….. ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ বাতিল করতে হবে।
এস আই আর এর নামে নাগরিক হয়রানি ও ডি ভোটার ঘোষণার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।
বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ওবিসি পুনর্বহাল এবং ভূয়ো এস সি/ এসটি শংসাপত্র বাতিল করতে হবে।
ধর্ণমঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, যতদিন না আমাদের দাবী আদায় হচ্ছে আমার এই ধর্ণা মঞ্চ চালিয়ে যাবো, প্রান থাকতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বো না, দেখি কতো আনন্দদায়ক উপর অত্যাচার ও পুলিশের লাঠি চলে, কতোকে গ্ৰেফতার করে। গনতন্ত্র কে কীভাবে গলা টিপে মারে,
হেমন্ত বিশ্ব শর্মা কথা বলতে গিয়ে বলেন উনি শুধু এই দেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাইনা, যারা এই দেশের মৌলিক অধিকারকে ধ্বংস করতে চায়, আর এস এস এর মুখপাত্র হয়ে গোটা দেশের মধ্যে যেখানে যেখানে বিজেপি সরকার আছে, তারা যা যা করছে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তাই তাই করছে । এদের মূল টার্গেট এই দেশের মুসলিম দের নাগরিক করা। শ্রমজীবী মানুষদের নাগরিক করা।
তাই তৃণমূল সরকার মোদী সরকারকে সন্তুষ্ট করতে, ওয়াকফ আন্দোলন বন্ধ করার জন্য আমাদের উপর সেই জুলুম ও নির্যাতন করেছে পুলিশ দিয়ে। আমাদের বিধায়ক সহ বহু সদস্য কে গ্ৰেফতার করে থানায় আটকে রেখেছিল, এখনো কয়েক জনকে আটকে রেখেছে ছারেনি।
তবুও আমাদের প্রান থাকতে এক ফোঁটা অধিকার ছাড়বো না, আমাদের পূর্ব পুরুষদের সম্মতি ,কবর স্থান, মসজিদ রক্ষা করবো, আর রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে ভাবে ওবিসি দের নিয়ে ছিনি মিনি খেলছে সরকারের লজ্জা থাকা দরকার, তবে আর বেশি দিন কেউ চুপ করে থাকবে না , জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।