মোঃফয়সাল হোসেন কয়রা
কয়রা সদরে ভাঙ্গন কবলিত খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস তাৎক্ষণিক বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন এবং অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও ড্রেজার জব্দ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, কয়রা খালের সুইস গেটের গোড়া হইতে চৌরাস্তা অভিমুখে ইটসোলিং রাস্তা নির্মাণ কাজ চলমান আছে। এর মধ্যে কয়রা খালের গোড়া হতে আবুল হোসেনের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ফিট রাস্তার বালু পার্শ্ববর্তী কয়রা খাল থেকে উত্তোলন করা হয়, ফলে জায়গার বালু একই জায়গায় উঠানোর ফলে যে কোন মুহূর্ত রাস্তা ধ্বসে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সরে জমিন গিয়ে দেখা যায়, খালের রাস্তাটির কোন প্রকার স্লোভ নেই একবারই খাড়া রাস্তার নিচ থেকে দেদারসে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এলাকাবাসীর নিষেধ উপেক্ষা করে প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হুরায়রা খোকন সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে অধিক মুনাফার আসায় কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কালে বিষয়টি এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাক রুলি বিশ্বাসকে জানালে তাৎক্ষণিক বালু উত্তোলন বন্ধ করে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৪০ পিস পাইপ সহ ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন।
এলাকাবাসীর দাবি,তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে যে সমস্ত স্থান থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে ওই সকল স্থানে এই বালু ভরাট না করা হলে ছোটখাটো যে কোন বর্ষা এলেই রাস্তাটি ধ্বসে খালের মধ্যে চলে যবে।
স্থানীয়রা বিষয়টি কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমানকে জানালে, তিনি সরজমিনে এসে দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
জানতে চাইলে প্রকল্পটির সভাপতি কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হুরাইরা খোকন কোন সদুত্তর দিতে পারিনি। যে কয়টি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে উক্ত স্থানে পুনরায় ভরাটের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।