জানালা দিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ছিটিয়ে বিষ মিশ্রিত চেতনা নাশক খাবার খাওয়াইয়ে পরিবারের ৩ সদস্যকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা সহ মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা । ১৫ মার্চ শনিবার রাতের কোন এক সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়পত্র কাঠি গ্রামের নুরুল হক সরদারের বাড়িতে প্রথমে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বাসার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রে করে। পরে রাত আনুমানিক ৪ টার দিকে রমজানের সেহেরি অর্থাৎ বিশ মিশ্রিত খাবার খেয়ে নামাজ পড়ে পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে । এই সুযোগে ভোরে বারান্দার গ্রিল খোলা থাকায় বাসায় প্রবেশ করে সব তছনছ করে নগদ টাকা ,স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা । পরিবারের অজ্ঞান সদস্যরা হলো জয়পত্র কাটি গ্রামের মৃত শহর আলী সরদারের পুত্র বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক সরদার (৬৫) তার স্ত্রী রওশনারা আক্তার (৫০) এবং পুত্র কালিগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র রাহিনুল ইসলাম। সকাল ৯ টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞান অবস্থায় থাকায় স্বজন ও প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেয় । খবর পেয়ে গৃহকর্তা নুরুল হক সরদারের শ্যালক মিজানুর রহমান এবং ভগ্নিপতি ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা ১২ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অজ্ঞান অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে । বর্তমান তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । তবে গৃহকর্তা নুরুল হক সরদারের মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় । এর আগেও একাধিকবার নুরুল হক সরদারকে হত্যা করার জন্য তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ডাকাতি সংঘটিত করলেও সে পর্যায়ে বেঁচে যায় । নুরুল হক সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে চৌমূহনী সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার কমিটি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান বিষয়টি একটু আগে আমি জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি । এর পরেও আমি বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।