মোঃ ইলিয়াস, পটুয়াখালী জেলা স্টাফ রিপোর্টার
কুয়াকাটা সৈকতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে স্টুডিও মালামাল জব্দ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় ফটোগ্রাফার ও স্টুডিও মালিকরা। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে সৈকতে স্টুডিও খোলা রাখার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে, আর সন্ধ্যায় ক্ষুব্ধ ফটোগ্রাফাররা কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভে নামে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেকের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সৈকতের একাধিক স্টুডিও থেকে কম্পিউটার, প্রিন্টার, পিসি, আইপিএসসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করে নিয়ে যায়। অভিযানের সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম এবং সেনাবাহিনী ও মহিপুর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টুডিও মালিকদের অভিযোগ, প্রশাসন কোনো পূর্ব নোটিশ বা সময় না দিয়েই তালা ভেঙে স্টুডিওর মালামাল লুটপাট করেছে। তাদের দাবি, প্রশাসনের এ ধরনের আচরণ অনৈতিক ও অন্যায্য। দোজাহান শেখ, কাওসার হাওলাদার, ওসমান ও ফিরোজসহ একাধিক মালিক জানান, এ ঘটনায় অন্তত ২৫টি স্টুডিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ ফটোগ্রাফাররা “ইউএনও’র পদত্যাগ চাই” দাবিতে ঝাড়ু মিছিল বের করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা ইউএনও’র বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগও করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সৈকতে পর্যটক হয়রানি ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টুডিও বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের পরও স্টুডিও চালু থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।