সঞ্চিতা সরকার, খুলনা ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “দেশকে নতুনভাবে গড়তে তরুণদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩রা জুলাই) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইট সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর উদ্যোগে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের মানবাধিকার কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন প্রতিবেদনটির মূল অনুসন্ধান তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “১৭ বছর বাকরুদ্ধ থাকার পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। তরুণ প্রজন্ম জানে কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়। এই ঐক্য ধরে রেখেই আমাদের দেশ গড়তে হবে।” তিনি জানান, শহিদ শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধর স্মৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের নামকরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৫২, ৭১ ও ২৪ সালের শহিদদের স্মরণে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিও থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, যিনি বলেন, “জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা ভবিষ্যতে বিচার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তরুণদের ঐক্যই জুলাইয়ের প্রেরণা ও মর্যাদা রক্ষা করবে।”
আরও বক্তব্য দেন আইন ডিসিপ্লিনের প্রধান পুনম চক্রবর্তী, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার, এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আইরিন আজহার ঊর্মি।
এইচআরএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে শহিদ ইয়াসিনের ভাই মোঃ বাবু শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন।
জুলাই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার, আয়মান আহাদ, আব্দুল্লাহ আল শাফিল ও স্নিগ্ধা সুলতানা মুন্নি। এছাড়া শিক্ষার্থী মোসাঃ জারিন তাসনিম স্বর্ণা ও অর্পিতা আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।