জান্নাতুল ফেরদৌস পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রতিনিধি:
প্রথমে ঘটনার বিবরণ শুনে বিশ্বাস হচ্ছিলো না, কিন্তু তথ্য দাতা আমার বিশ্বাস যোগ্য হওয়ায় সরেজমিনে গিয়ে বাচ্চার গালের থাপ্পড়ের চিহ্ন দেখে বলতে গেলে আমি বাকরুদ্ধ।
বাচ্চার মায়ের চোখে না ছিলো এক ফোটা পানি না ছিলো অনুশোচনার কোন বালাই। আর বাচ্চার সৎ বাবা মোটামুটি দু'বার পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করেছিলো।
উলটো আমাকে বাচ্চার মা বুঝাতে চেয়েছিলো তার বাচ্চা অসুস্থ ছিলো তাঁকে অনেক জ্বালাতন করতো বলে গতকাল রাগ করে তাকে একটি থাপ্পর মেরেছি।
কিন্তু বাড়ির সকল মানুষ জানায় ২ মাস যাবত তারা এই বাসায় ভাড়া এসেছে দুই মাস যাবত-ই সৎ বাবা বাচ্চা টা কে এলোপাতাড়ি মারধর করতো কিন্তু বাচ্চার মা কিছু-ই বলতো না।
কিন্তু বাচ্চার গালের আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয় না এটা কোন মহিলা মানুষের হাতের আঘাত হবে।
সন্দেহের বসে আমি ডান গালে আঘাতের চিহ্ন দেখে এবং বাড়ির মানুষের সাথে কথা বলে মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে ধারনা করি এটা পুরুষ মানুষের হাতের আঘাত হবে নিশ্চিত। কারন মহিলা মানুষের বাম হাতে এতো শক্তি থাকার কথা নয়, এটা পুরুষ মানুষের বাম হাতের আঘাতের চিহ্ন হবে।
কিন্তু বাচ্চার মা কিছুতেই তার কথিত স্বামীকে কোন রকম দোষ দিতে নারাজ সব দোষ সে নিজে মাথা পেতে নেয়। (প্রেমে অন্ধ)
অবশেষে বিষয় টি জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করি তারপর তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন!
এবং বিষয় টি দেখে তারাও অবাক হোন পরে শিশুর লাশ উদ্ধার করে দুজন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনার মুল মন্ত্রে যা বুঝতে পারলাম সৎ বাবা শিশুটিকে মেনে নিতে পারছিলো না।
আর মা তার বর্তমান স্বামীকে ছাড়া পৃথিবীতে কিছু কল্পনা করতে পারছিলো না (প্রেমে অন্ধ)
এই দুইজনের দুই রকম চিন্তার বলি হলো অবুঝ শিশুটি!.........................
তবে বাচ্চার মা দেখতে বলদ হলেও পাতা কাটা চালাক এবং বদমাইস সেটা বুঝতে বাকি নেই।
সে চিন্তা করেছে নিজে দোষ ঘারে নিলে অনেক টা সহজ হবে তার জন্য।
আইন আদালত বিশ্বাস করবে না মা তার সন্তান কে মেরে ফেলতে পারে।........
কোন ভাবেই সে স্বীকার করেনি যে তার স্বামী তার বাচ্চা কে মারধর করতো।
জীবনে এই প্রথম কোন সীমার প্রকৃতির মা দেখলাম গতকাল!