ইব্রাহিম গাজী,সাতক্ষীরা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার
তালায় কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মসজিদের টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম খোপ বিরাজ করছে।
মসজিদের টাকা আত্মসাৎকারী কামরুল ইসলাম তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার সারদারের
ছেলে। সে তালা সরকারি হাসপাতালে চাকুরী করেন।
এলাকাবাসী জানান, কামরুল ইসলাম বিয়ের পর থেকে শশুর বাড়িতে থাকেন। গত ২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হরিচন্দ্রকাটি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতি হওয়ার পর থেকে মসজিদের আয় ব্যায়ের হিসাব নিয়ে গড়মিল করেন। এমনকি মসজিদের নামে ব্যাংকে থাকা ১৬হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।
প্রতি সম্পাহে যে টাকা উঠছে সে কোন টাকারই হিসেব দেয়নি। এমনকি ব্যাংকে থাকা মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছে, আমাদের মনে হয় সে এলাকাবাসীর দানের টাকাও আত্মসাৎ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, কামরুল ইসলাম মসজিদের টাকার হিসাব নিয়ে গড়মিল করিলে মসজিদ কমিটি মিটিং ডাকে। এক পর্যয়ে মসজিদের টাকার কোথায় গেলো এমন প্রশ্নে তার ছেলে পাপ্পু কমিটির লোকজনকে বিভিন্নভাবে গালাগালি ও হুমকি ধামকি দেয়। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে মসজিদের ব্যাংকে থাকা ১৬হাজার কথা শিকার করে।
এলাকাবাসী আরও জানান, কামরুল এলাকার চরিত্রহীন মানুষ এবং জখন্ন ব্যক্তী। মসজিদের নামে ব্যংকে থাকা টাকা কেউ আত্মসাৎ করে । তার কুলাঙ্গার পুত্র ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী পাপ্পু এলাকায় চাঁদাবাজী, গ্রামের নারীদের যৌন হয়রানি সহ অন্যর জমিদখলের অভিযোগ রয়েছে। কামরুল ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দলের ক্ষমতায় বিভিন্ন ভাবে এলাকার মানুষদের হয়রানি করে।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম বলেন, হরিচন্দ্রকাটি মধ্যেপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি থাকাকালীন ব্যাংকে থাকা ১৬হাজার টাকা খরজ করেছি। ৮হাজার টাকা দিয়েছি বাকি ৮ হাজারও দিয়ে দিবো।