1. info@dailysatkhirdiganta.online : সাতক্ষীরা দিগন্ত : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
  2. info@www.dailysatkhirdiganta.online : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন

নতুন করে উত্তেজনা সেনাবাহিনীর টহল জোরদার কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

সৈকত হাবীব,স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ।
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

সৈকত হাবীব,স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ।

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইউনুছ আলী (৬২) নামে আরো একজন মারা গেছেন। বুধবার সকালে যশোরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইউনুস নিহত হওয়ার পর নাকোবাড়িয়া, কোলা বাজার পারখালকোলা, তালিয়ান, নাটোপাড়া ও গুল্লা গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

 

ইউনুছ আলী উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলে। এই নিয়ে ওই সংঘর্ষে দুই বিএনপি কর্মী নিহত হলেন। নিহত ইউনুস আলী গত রোববার সংঘর্ষে নিহত মহাব্বত আলীর বড় ভাই। একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত রোববার (১ জুন) কালীগঞ্জের জামাল ইউনিয়নের পারখালকোলা গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির আরিফ ও নজরুল মোল্লা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মহব্বত আলী (৫৮) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির হামিদ গ্রুপের সমর্থক।

 

এসময় হামলা ঠেকাতে গেলে তার বড় ভাই ইউনুছ আলীকেও কুপিয়ে জখম করে অস্ত্রধারীরা। গুরুতর আহত ইউনুছ আলী যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎধীন ছিলেন।

 

এদিকে বিএনপি কর্মী মহব্বত আলী হত্যার ঘটনায় তার ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৫৮ জনের নামে মামলা করা হয়। হত্যা মামলায় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।

 

এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, নিহত ইউনুস আলী একসময় জামায়াতের কর্মী ছিলেন। ১৫ বছর আগে আ’লীগ সরকার দমনপীড়ন শুরু করলে তিনি পালিয়ে বিদেশ চলে যান। ৫ আগষ্টের পর তিনি দেশে ফিরে বিএনপরি রাজনীতি শুরু করেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এলাকার কোলা বাজারের আধিপত্য ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে আরিফ ও জলিল গ্রুপের মধ্যে বোমাবাজীর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুকুর আলীকে দেখতে এসে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার হোসেন মোল্লাকেও কোলা বাজারের ব্যাংকের সামনে কুপিয়ে আহত করা হয়।

 

হামলার পর কোলা বাজারের নিয়ন্ত্রন নেয় যুবদল নেতা আরিফ ও জলিল রানা। গত বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সংঘর্ষে নিহত মহাব্বতের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমানকে মারধর করে আরিফ গ্রুপ। এরপর থেকে কোলা ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বিএনপির এই বিরোধে এলাকার সন্ত্রাসী গোপালপুর গ্রামের ঘ্যানা, বাগুটয়িা গ্রামের মুসা, উল্লা গ্রামের বিপ্লব ও লিটন, বিত্তিপাড়া গ্রামের সুমন, তালিয়ান গ্রামের হারুন ও মাসুদ বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অংশ গ্রহন করে বলে অভিযোগ। এই সন্ত্রাসীরা আ’লীগের ছত্রছায়ার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল। ৫ আগষ্টের পর তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন।

 

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বুধবার সকালে জানান, ইউনুছ আলী নামে এক বিএনপি কর্মী মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সোনাবাহিনী কাজ করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট