মোঃকামাল উদিন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
১৮ বছর এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের কর্তৃত্বের অবসান ঘটাতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এ আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের বিচার না করে শুধু ‘নির্বাচন, নির্বাচন’ জিকির তুলে একদল পায়জামা-পাঞ্জাবি রেডি করে ফেলেছে। নির্বাচন অনিবার্য হলেও সেটা যেনতেন নির্বাচন নয়; সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ভোটকেন্দ্রে আমাদের জীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ ভোটকেন্দ্র দখল করতে পারবে না। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আমীরে জামায়াত ঘোষণা দিয়েছেন— আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছি। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি আমরা করব না এবং কাউকেও করতে দেব না।”
আব্দুল হালিম আরও বলেন, সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। যার রায়ের দিনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছিলেন— যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। সেই সাঈদীকে আওয়ামী লীগ সরকার চিকিৎসার নামে হত্যা করেছে। বিগত আঠারো বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতা এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে এবং সেদিন সারাদেশে মোট ১৪ জন ভাই শাহাদাত বরণ করেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তিন দফা নির্বাচনে কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে— একবার ভুয়া নির্বাচন, একবার দিনের ভোট রাতে, আরেকবার ‘ডামি ভোট’। এভাবে তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
সম্মেলনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, ঠাকুরগাঁও-০২ আসনের প্রার্থী ও সাবেক জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম,ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো:আলমগীর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার (রুকন) সদস্যরা।