মোঃ জিয়াউর রহমান জুয়েল মৃধা, নির্বাহী পরিচালক দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত।
পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদী থেকে তুহিন (২৫) ও রেজাউল (২৮) নামের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের প্রশ্ন।
গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে লোহালিয়া সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তুহিন হাওলাদারের (২৫) মরদেহ। এরপর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে লোহালিয়া ধলু হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন নদী থেকে রেজাউল (২৮) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত তুহিন স্থানীয় কালাম হাওলাদারের ছেলে। গত সোমবার রাতে ডিবি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে অভিযোগ করছেন তার পরিবার। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে। তার স্ত্রী, পাঁচ বছরের কন্যা ও দুই মাস বয়সী নবজাতক সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে রেজাউল সদর উপজেলার ভুরিয়া ইউনিয়নের নুরু বয়াতির ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালাতেন। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সেদিন রাতেই স্থানীয় কাশিপুর রোড থেকে তার অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ। এর একদিন পর বুধবার সকালে লোহালিয়া নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লোহালিয়া নদীতে দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পর পর নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক জসিম উদ্দিনের কাছে অভিযানের বিষয়ে জানতে তিনি বলেন, সোমবার রাতে তাদের কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই যুবকের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।