কামরুল হাসান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রাম জেলাধীন নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে লাকী খাতুন প্রভাষক কচাকাটা ( ফাইনেন্স অ্যান্ড ব্যাংকিং)। লাকী খাতুন তার ফেসবুক পেজে লেখেনঃ” চেহারা যদি এভাবে ঢাকতে হয় তাহলে আল্লাহ চেহারা দিলেন কেন ? মুখবিহীনভাবেই নারীদের তৈরী করতে পারতো সৃষ্টিকর্তা। পর্দা প্রথাটা খুবই ভয়ংকর অশিক্ষিত প্রথা। সামান্য সেন্স নিয়ে চিন্তা করলেই বুঝা যায় যে এটাকে পুরুষরাই নিজ সার্থে নারীদের উপর বেশি প্রমট করে বা করছে ।অথচ নিজেরা সেটা গ্রহন করেনা। এটা আল্লাহর নামে পুরুষেরা চালায়ে দিছে নারীদের উপর দিয়ে। যদি আল্লাহর নির্ধারিত ব্যাপার হতো তবে নারীদের কচ্ছপের মত স্থায়ী খোলস দিয়ে জন্ম দেয়া হতো”।
ইসলাম বিদ্বেষি ও পর্দা প্রথার উপর এরকম কটাক্ষ করায় ফেসবুক পেজ টি দ্রত ভাইরাল হয় এবং সারা বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।শুর হয় কমেন্টের বিরুদ্ধে নানা রকম বিরুপ প্রতিক্রিয়া।স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা লাকী খাতুনের বাসায় গিয়ে প্রতিবাদ করেন।ইসলামী আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দল নাগেশ্বরী থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ তৎখনাত লাকী খাতুনের বাসায় যায়।কিন্ত পুলিশ লাকী খাতুন কে বাসায় খুজে পায় না।৩/৫/২৫ তারিখ বিকালে উপজেলা প্রশাসক জনাব সিব্বির আহমেদ লাকী খাতুনের বাসয় যান, তিনি বলেন বিষয় টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি এবং দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কে আশ্বস্ত করেন।
রাতে ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায়