সমরেশ রায়, কলকাতা প্রতিনিধি
আজ ৬ ই সেপ্টেম্বর শনিবার, বরানগর পৌরসভার অন্তর্গত 9 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ আয়োজিত, বরানগর বিদ্যামন্দির স্কুলের সন্নিকটে রামকৃষ্ণ পালের উদ্যোগে, ৫ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঠিক সন্ধে ছটায় পালিত হল শিক্ষক দিবস এবং সর্বোপরি রাধাকৃষ্ণাণ এর ১৩৮ তম জন্ম দিবস ও সম্বর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই দিনটি ছাড়া ভারতবর্ষে শিক্ষক দিবস হিসেবেই পালিত হয়ে থাকে।
শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়, একটি সুন্দর সংগীতের মধ্য দিয়ে এবং সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি বরানগর পৌরসভার পৌর প্রধান শ্রীমতি অপর্ণা মৌলিক, পৌরসভার পৌর পরিষদ অঞ্জন পাল, উদ্যোক্তা রামকৃষ্ণ পাল ও শ্রীমতি সরমা পাল, রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ প্রসূন বরণ মুখার্জি, উপস্থিত ছিলেন নিতাই সাহা, গৌড় জানা, জয়ন্ত রায়, সঞ্চিতা দে, নিবেদিতা বসাক এবং মুখ্য উদ্যোক্তা সৌরভ জানা বুথ কর্মী তৃণমূল কংগ্রেস, সহযোগিতায় শ্রী নারায়ন খেটো শ্রী প্রসেনজিৎ নাথ সহ অন্যান্যরা।
শুভ উদ্বোধনের পর উপস্থিত অতিথিদের ব্যাচ ও উত্তরীয় পড়িয়ে হাতে একটি করে চারা গাছ দিয়ে সন্মানিত করেন।
এরপর একে একে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বরণ করে নেন, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কুইজ, জাদু প্রদর্শনী, সঙ্গীতাঅনুষ্ঠান প্রভৃতির মধ্য দিয়ে সকলকে উৎসাহিত করেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও একই ভাবে তারা পালন করলেন শিক্ষক দিবস, এই উপলক্ষে তাহারা বলেন , যাহারা আমাদের কারিগর, ছোট ছোট শিশুদের গড়ে তোলেন, যাহারা দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করেন আমরা তাদেরকে সামান্যতম কিছু দিয়ে সম্মান জানালাম। কারণ এই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা না থাকলে কখনোই কারিগর তৈরি হতে পারে না, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠা হতে পারত না।, তাই সবার আগে যাহারা কারিগর তাদেরকে সম্মান দেওয়াটাই আমাদের উচিত। এবং সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, সাথে সাথে এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়ে মেয়েরাও উপস্থিত হয়েছেন এবং এলাকার পরিবারের লোকজন ও সদস্যরা উপস্থিত হয়ে এই অনুষ্ঠানকে সুন্দরময় করে তুলেছেন,
আজকের শিক্ষক দিবস উপলক্ষে, ন নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিলেন, মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু নিধন, যাহাতে কোনোভাবে এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়, এবং এলাকা যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তাহার কথাও তুলে ধরেন, এমনকি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন, নিজেদের এলাকা নিজেরাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, কোন কিছুতেই জল জমিয়ে রাখবেন না, নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলুন, এমনকি পৌরসভার গাড়িতে ময়লা ফেলুন। বর্ষার জল জমে থাকলে তৎক্ষণা সেই জায়গাটা থেকে জল ফেলে দিন।