হাফেজ জিএম আব্বাস উদ্দিনঃ-
বহুদিনের প্রতীক্ষা আর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোন বাধা বিপত্তি এবং বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হল ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন কমিশনার জালাল উদ্দীন আকবার, সদস্য সচিব ওয়ালি উল্লাহ, সদস্য এস এম আব্দুস সালাম এর যৌথ সঞ্চালনায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) এ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ভবন কার্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে হাসান- সান্টু -মুছা পরিষদ চশমা মার্কা প্রতীক এবং হাবিব -রবিউল- অহিদুল পরিষদ হরিণ মার্কা প্রতীক নিয়ে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে গোটা নির্বাচনী এলাকা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখে আইন শৃংখলা বাহিনী। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনের মধ্যে স্থানীয় ও বৈরাগত সদস্য ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সকল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ।
এ নির্বাচনে হাসান- সান্টু- মুছা পরিষদ চশমা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এদিকে হাবিব -রবিউল- অহিদুল পরিষদে সাংগঠনিক ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক পদে শরিফুজ্জামান পরাগ বিজয়ী হন। এ ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে ১৬০ জন ভোটারের মধ্যে ১৩২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। হাসান -সান্টু- মুছা পরিষদের সভাপতি পদে আলহাজ্ব আবু হাসান ৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান হাবিব পান ৫৪ ভোট। এই পরিষদের সহ-সভাপতি (১) পদে আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী (সান্টু) ৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল ইসলাম ৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। একই পরিষদের সহ-সভাপতি (২) পদে কাজী ইমাম উদ্দিন ৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পান ৫৭ ভোট। ওই পরিষদে সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ আবু মুছা ৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অহিদুল ইসলাম পান ৪৭ ভোট। একই পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বিলকিস সুলতানা সাথী ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম ফারুক বাবু পান ৫৯ ভোট। হাবিব -রবিউল- অহিদুল পরিষদের সাংগঠনিক ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক পদে শরিফুজ্জামান পরাগ ৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম পান ৬২ ভোট। হাসান- সান্টু- মুছা পরিষদের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক পদে জিএম আমির হামজা ৮০ ভোট পেয়ে এবং বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন মন্টু পান ৪৮ ভোট। একই পরিষদের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক পদে রিয়াজুল হক ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসরাইল গাজী পান ৫৫ ভোট। একই পরিষদে অর্থ সম্পাদক পদে আব্দুল গফুর সরদার ৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুন্সির রইসুল হক পান ৪৬ ভোট। হাবিব - রবিউল- অহিদুল পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আমিনুল হক আনু ৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম লুৎফর রহমান পান ৬৫ ভোট। হাসান -সান্টু- মুছা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মফিজুর রহমান ৬৭ ভোট, মুস্তাফিজুর রহমান নাসিম ৬৭ ভোট, শাহানুর ইসলাম শাহীন ৬৮ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এবং তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুজ্জামান ৫৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এ ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে ১৩ টি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রার্থী জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের ১৩ টি পদের মধ্যে ১১ টি পদে বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হন হাসান- সান্টু- মুছা পরিষদ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিব -রবিউল- অহিদুল পরিষদ পান ২টি পদ। এ ত্রিবার্ষিক নির্বাচনটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন সরকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রনয় বিশ্বাস। নির্বাচন পরিচালনায় প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়ার প্রভাষক সীমান্ত কলেজ মাওলানা মনিরুল ইসলাম।