মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামনগর উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার অন্তর্গত মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান ১ ,সিরাজুল ইসলাম পল্টু ,এবং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয় দুই নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে জেলে বাওয়ালি কার্ড এর চাউল শিশু মাতা কার্ডের চাউল চুরি সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ,এ বিষয়টি তদন্ত করতে দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্তের প্রতিবেদক, সরজমিনে মাঠে যেয়ে তদন্ত করে পায়। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক 8 ঘটিকার সময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাউল সরানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা জানিয়েছে ,আইট পাড়া গ্রামের , ইউনুস মল্লিক এর ছেলে জয়নাল মল্লিক ,সে উপজেলা তরুণ দলের আহবায়ক, একই গ্রামের, মৃত মজু মোল্লার,ছেলে মোঃ আল আমিন মোল্লার, সে বর্তমান,মৎস্যজীবী দলের, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন সভাপতি তার বাড়িতে চাউল নিয়ে যাওয়া বহনকারী ভ্যান চালক একই গ্রামের, মোঃ মকবুল গাজীর,ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (মানু)কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তাদের বাড়িতে চেয়ারম্যানের অর্ডারে চাল দিয়ে আসছি আমাকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।পরবর্তীতে জয়নাল মল্লিক এবং আল আমিন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমাদের কোন কার্ড নেই কিসের চাউল আমরা জানিনা।আমরা চাউল নিতে অস্বীকৃতি জানালে চেয়ারম্যান বলে যেটা দিয়েছি ওটা রাখো, গোপনীয় ভাবে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের হরি লুটের চাউল মুখ ঢাকতে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। একই গ্রামের, মৃত শাহজান সানার,ছেলে মোঃ শামসুর রহমান ,জয়নাল মল্লিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই অবৈধ চাউল নিব না।চেয়ারম্যান আমার বাড়িতে দিয়ে গেছে আমার কোন কার্ড নেই।আমি এই চাউল খাবো কেন।চাউল বহনকারী ভ্যানচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন রাতের অন্ধকারে আমাকে সাথে নিয়ে পরিষদ থেকে চাউল নিয়ে এসে বলে জয়নালের বাড়ি এবং আল আমিনের বাড়িতে দিয়ে আসো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন তিনি দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পলাতক হওয়ার কারণে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বপান তারপর থেকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সমস্ত মালামাল এনে তার নিজস্ব লোকেদের
দিয়ে থাকেন এ নিয়ে এলাকার গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তারা আরো জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পরে লুট পাটের মরিয়া হয়ে উঠেছে। উপরোক্ত বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা UNO মহোদয় সহ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করছি সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হোক। এটা আমাদের প্রথম পর্বের প্রতিবেদন।