জিএম আব্বাস উদ্দিন ,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
মৃত্যুর পরে জীবনের শেষ নিয়তি আপন বলতে কেহ নাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা তার লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় পথের মাঝে হঠাৎ বৃষ্টি! লাশের ভ্যান রেখে স্ত্রী,পুত্র,কণ্যা,ভাই বোন,বন্ধু বান্ধব,সবাই বৃষ্টির পানি থেকে নিজেদের বাচানোর জন্য পাশেই নিরাপদ কোন স্থানে আশ্রয় নেয়! ওই বাড়ির গার্জিয়ান পরিচালক সে তার জীবনের জীবন যৌবন বিফাদ আপাত ঝুঁকি অপেক্ষা করে রুজি রোজগার করে তাদেরকে লেখাপড়া সহ পরিচালনা করেছি লাশ হওয়ার কারণে তার কোন মূল্য নেই মূল্যহীন ভেবে তাদের জীবনের মায়ায় নিরাপদে গেছে ওই বেচারার নিথর দেহ ভ্যান গাড়ির উপর ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে!
অথচ এই মৃত মানুষটাই বেচে থাকা অবস্থায় পরিবারের সবার জন্য ছায়া হয়ে ছিলো! বৃষ্টিতে ছাতা হয়ে ছিলো!
জীবনের পুরোটা সময় স্ত্রী,পুত্র,কণ্যাকে আগলে রেখেছিলো! পরিবারের সবাইকে সুখে শান্তিতে রাখার জন্য মৃত্যুর পুর্ব দিন পর্যন্ত গাধার মতো পরিশ্রম করে যাওয়া মানুষটার শেষ পরিনত বড়ই নির্মম! শরীর থেকে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার পরই পাশে আপন বলতে কেউ নেই!