মোঃ নাসিরউদ্দিন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এলাকার ভয়ংকর মাদকের সিন্ডিকেট গডফাদার ওকিল । সে উপজেলার
হরিণবিসকা গ্রামের ৫ নং গোগ্রাম ইউপির ০৮ নং ওয়ার্ডের:মোঃ:মেকাইল এর ছেলে মোঃ:ওকিল(৪৬), রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাঝামাঝি গোদাগাড়ীর প্রেমতলীর এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের লালন পালনসহ,তার এই বাহিনী মাদক সেবনে ছিনতাই, চুরি,চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত উকিলের লোকজন। যিনি একাধিকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েও আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে জেল থেকে বের হয়েই আবার শুরু করেন মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম।
খোজ নিয়ে জানা যায়,ঐ এলাকায় তার রয়েছে এক অভিনব সাম্রাজ্য যে সাম্রাজ্যের রাজা ওকিল এবং রাণী সেজে দায়িত্ব পালন করছেন তার স্ত্রী। তার স্ত্রী মাদক ব্যবসা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে মানসিক টর্চার করে,একই সাথে ওকিলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। গোদাগাড়ী এলাকায়
একটি অংশের আশেপাশের এলাকায় খুচরা এবং পাইকারি মাদক সাপ্লাইকারি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে যে,মাদক সম্রাট ওকিলের খুঁটির জোর নাকি অনেক বড়, টাকা দিয়ে তিনি নাকি থানা পুলিশ সহ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভয়ংকর এই মাদক হিরোইন ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় ও মানব সমাজে অসংখ্য মাদকর অভিযোগ রয়েছে। যে কারনে আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় আবার মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে । তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে মিলেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানাগেছে ওকিল আশপাশের এলাকায় একটি চক্রেরও গডফাদার। তার নেতৃত্বে শতাধিক ছিনতাইকারি এসব এলাকায় সক্রিয়। এলাকায় উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে মাদকের সহজলভ্যতায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ এটি দেখার যেন কেউ নেই। তাই এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি দ্রুত এই মাদক সম্রাট ওকিল কে,আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এর আগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মাদকের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই যদি কাউকে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট সেবনকারী অথবা ব্যবসায়ী এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে আটক করে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।