1. info@dailysatkhirdiganta.online : সাতক্ষীরা দিগন্ত : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
  2. info@www.dailysatkhirdiganta.online : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত :
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর তানোরে বায়না করেও জমি আর বাড়ি রেজিস্ট্রি দিচ্ছেন না।

আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার হোসেন রাজশাহী জেলা ক্রাইম রিপোর্টার

 

এক বণিক সমিতির সভাপতির প্রতারক স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৫)। একারণে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে বিক্রয় কবলা দলিল রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে দেবার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি চলতি বছরের ৭ জুলাই ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন রাজশাহী জজকোর্টের এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি না দিলে আগামী সপ্তায় চুক্তি প্রবলের মামলার আভাস দিয়েছেন ভুক্তভোগি মনোয়ার হোসেন বাবু নামের এক আইনজীবি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোর সদরের গোল্লাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। তার নামীয় তানোর কলেজের দক্ষিণে তানোর মৌজায় দশমিক ০৪১৩ একর জমি ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করবার জন্য রেজিস্ট্রি বায়না চুক্তি সম্পাদন করেন। তিনি তানোর থানামোড় আদর্শ বণিক সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম কবিরের স্ত্রী। ওই চুক্তি মোতাবেক তানোর সদরের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ওসিমুদ্দিন মন্ডলের পুত্র এ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন বাবু (৩৫) আট লক্ষ টাকা নগদ আর বাঁকি দশ লক্ষ টাকা আগামী ৩ মাসের মধ্যে সরকারি বিধি মোতাবেক পরিশোধ করে বিক্রয় কবলা দলিলে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করবেন মর্মে চুক্তি সম্পাদন হয়। ওই জমির স্থাপনার (বাড়ি) মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। আর জমির মূল্য ১৫ লক্ষ টাকা ধরা হয়। যার দৈর্ঘ্য ২০ ফিট ও প্রস্থ ১০ ফিট। টোটাল ২০০ স্কয়ার ফিট। বর্তমানে ওই জমি রেজিস্ট্রি দেবেন না মর্মে নিজে ও লোক মাধ্যমে জানান। ফলে বায়নার টাকা ফেরৎ চাল এ্যাডভোকেট বাবু। তখন সপ্তা খানেক সময় চান ফাতেমা বেগম। এভাবে সময় ক্ষেপণ করে দীর্ঘদিনেও টাকা ফেরৎ দিতে এগিয়ে আসেনি কবির ও তার স্ত্রী। পরে প্রতারণার মাধ্যমে বায়নার টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি দেবার জন্য এ্যাডভোকেট মাধ্যমে ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু এরপরও জমি রেজিস্ট্রি দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করছেন প্রতারক ফাতেমা বেগম। এবিষয়ে এ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, তিনি ওই জমি ও বাড়ি রেজিস্ট্রি বায়না চুক্তির পর কমমূল্যে তার বিভিন্ন সম্পদ বন্দক রেখেছেন। এছাড়াও ধার দেনা করে এতো টাকা জোগাড় করেছেন। এখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি দিতে বিভিন্ন টালবাহনা করছেন কবির ও তার স্ত্রী। এজন্য সরকারি বিধি মোতাবেক জমি রেজিস্ট্রি পাবার জন্য সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে নির্ধারিত কোর্ট ফি জমা দেয়া হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে চুক্তি প্রবলের মামলা করবেন তিনি। তবে, ফাতেমা বেগম ও কবিরুল আলম বলেন- বাড়িসহ জমি রেজিস্ট্রি দিলে তারা থাকবেন কোথায়। আর মূল কথা বাড়ি বিক্রির বায়নার টাকা খরচ হয়ে গেছে। তাদের বাড়ি বিক্রির নামে বায়না চুক্তি করে টাকা নেয়া ভুল হয়ে গেছে। হাতে টাকা পেলে ফেবৎ দেব। আদালতে মামলা করলে জবাব দেব বলে এড়িয়ে গেছেন এই প্রতারক দম্পত্তি। এব্যাপারে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো রাজশাহী জজকোর্টের এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি না দিলে বিধি মোতাবেক আগামী সপ্তায় সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে চুক্তি প্রবলের মামলা করা হবে। এছাড়াও প্রতারণার দায়ে পৃথক মামলার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে বাড়িসহ জমি দখল নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন এই এ্যাডভোকেট। ই/তা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট