মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্যামনগর উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের রামজীবনপুর এলাকায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে রামজীবনপুর কেরাতলা এলাকায়।গুলিবিদ্ধরা হলেন:
১. আব্দুল মালেক (৫০) ২. আরিফুল ইসলাম (১৫)
৩. আরিফুল ইসলাম (২৮)৪. আবু সাঈদ (১৫)
৫. আব্দুল আল মামুন (৩৫) আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। তারা সবাই রামজীবনপুর কেরাতলার বাসিন্দা।ঘটনার প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন:
১. আশরাফুল ইসলাম (২৫) ২. আমানুল্লাহ (২৩)
৩. মারুফ হোসেন (২২) ৪. আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০)
আটককৃতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি পুরাতন সাতক্ষীরার দুই জনের বাড়ি সখিপুর এলাকায় বলে জানা গেছে।এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আহতদের পক্ষের এক আত্মীয় আরিফুল ইসলাম জানান, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমাদের নামে জমিটি বরাদ্দ হয়। ওই জমি দখলে নিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী শাহাজানতার নাম করে বাসে করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে এসে জমি দখলের চেষ্টা করে
তিনি আরও বলেন, আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমাদের গুলি করে। পুলিশ এসে চারজনকে আটক করে।অন্যদিকে আটককৃত আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, আবদুল মালেক গং আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।
ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, “সংঘর্ষ ও গুলির খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমির দখল ও মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি। শনিবারের ঘটনায় উভয় পক্ষই আহত হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।