সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মৃত্যুর চার মাস পর মায়া খাতুন (২৪) নামে এক নারীর লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ রনী খাতুনের নেতৃত্বে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রাম হতে লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান এবং শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ন কবির মোল্লা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট মায়া খাতুন স্বামীর বাড়িতে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করা হয় এবং উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে মায়ার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে মৃতের মা মোছাঃ ফজিলা বেগম গত ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মামলা নং ৪৩৯/২৪) দায়ের করেন। মামলায় মায়ার স্বামী মোঃ রাশিদুল ইসলাম, স্বামীর আত্মীয় হাফিজুর রহমানসহ আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলাটি আদালতের নজরে এলে রহস্য উদঘাটনে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, আদালতের নির্দেশে মায়া খাতুনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মায়া খাতুনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে