মোঃ আবুজার গাজী, খুলনা বিভাগীয় প্রধান।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে সাবেক বিএনপি ইউনিয়ন সভাপতি আবুল কালাম মোড়লের বিরুদ্ধে এক নারীর ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ঘিরে রহস্যজনক চক্রের তথ্য ফাঁস হয়েছে।
দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে উঠে আসে শহিদুল ইসলাম মেম্বারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি ব্ল্যাকমেইল সিন্ডিকেটের বিষয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী ওই নারী ৫ কন্যা সন্তান রেখে স্বামী মারা যাওয়ার পর শহিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে তার সাথেই বসবাস করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, শহিদুল ইসলাম এই নারীকে দিয়ে বিভিন্ন পুরুষকে ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করিয়ে পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীটি অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য হচ্ছিলেন শহিদুলের চাপে।
সম্প্রতি তিনি এতে রাজি না হলে শহিদুল ইসলাম তার মেয়ে ও জামাইদের ভিডিও দেখিয়ে সংসার ভাঙার হুমকি দেন। নারীটির আপন সতাতো ভাই আলতাব হোসেন লাভলু জানান, এই মেম্বার এলাকার একজন দুশ্চরিত্র মানুষ।
আপনি তদন্ত করলেই দেখবেন, তিনি নানা ভিডিও বানিয়ে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
এবং আরো বলেন আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই যদি আমার বোন অপরাধী হই আমার বোনকেও সাজা হোক আর যদি মেম্বার অপরাধী হয় তাকেও বিচারের আওতায় আনা হোক।স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ ধরনের মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারে না।
অবিলম্বে তদন্ত করে তার অপকর্মের বিচার করতে হবে। আটুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শাহানারা বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান, তার প্রথম স্বামী হাওলভাঙ্গি গ্রামের আজিবর রহমানের মৃত্যুর পর শহিদুল ইসলাম তার পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে শহিদুল তাকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই শহিদুল তার ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে শহিদুল তার বাহিনী দিয়ে শাহানারাকে মারধর করেন এবং তার ডান পা ভেঙে দেন।শাহানারা আরও অভিযোগ করেন, শহিদুল তাকে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন। তিনি বলেন, “মেয়েদের সংসার ভাঙার হুমকি দিয়ে আমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতেন। আমি রাজি না হলে আমার কর্মস্থলে গিয়ে হুমকি দিতেন।” তিনি জানান, শহিদুল বিভিন্ন লোকজনকে তাদের বাড়িতে এনে অনৈতিক ছবি ও ভিডিও ধারণ করতেন। এই ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শহিদুল প্রায় ১০ জনের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা আদায় করেছেন।
শাহানারা বলেন, “শহিদুলের কাছে সংরক্ষিত সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরযুক্ত কাগজপত্র রয়েছে। তিনি এসব ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।” তিনি প্রশাসনের কাছে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।একটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও ভিডিও কেলেঙ্কারির গুরুতর অভিযোগ তুলে ।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, ইউপি সদস্য একটি মহিলাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করছেন এবং অর্থ আদায় করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দীর্ঘদিন ধরে একটি মহিলাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করছেন।
এই মহিলার কয়েকটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।এক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন “আমি আমার দোকানের পাওনা টাকা চাইতে গেলে মেম্বার আমাকে জোর করে একটি ভিডিও তৈরি করতে বাধ্য করেন। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে আমার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন।”আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন,আজিবর বলেন “মেম্বারের সঙ্গে আমার আর্থিক লেনদেন ছিল।
টাকা চাইতে গেলে তিনি আমাকে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে জোর করে একটি ভিডিও তৈরি করেন এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা আদায় করেন।”স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ইউপি সদস্যের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “এটি একটি গুরুতর অপরাধ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।