মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামনগর উপজেলা ক্রাইম রিপোর্টার

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের ব্যতিক্রমধর্মী শোক ও আনন্দ মিছিল” অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কর্মীবান্ধব নেতা হাফিজ আল আসাদ কল্লোল ভাইয়ের নেতৃত্বে হাজারো যুবদলের নেতাকর্মী এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগস্ট মাসের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শহীদদের প্রতি শোক জ্ঞাপন ও শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রত্যাশা প্রকাশ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন, এই দিন থেকে শুরু হবে পতনের ইতিহাস।
মিছিলটি শ্যামনগর পাইলট স্কুল থেকে শুরু হয়ে বাজার, থানা মোড়, কলেজ সড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রদক্ষিণ করে। মিছিলজুড়ে চলছিল উদ্দীপ্ত স্লোগান—
তারেক রহমান আসছে, মা মাটি ডাকছে
আগস্টের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না,গণতন্ত্র মুক্তির একমাত্র পথ তারেক রহমান
কল্লোল ভাই ওনার বক্তব্যে বলেন যে, আজকের মিছিলটি প্রমাণ করেছে শ্যামনগর উপজেলা যুবদল এর নেতাকর্মীরা ঘুমিয়ে নেই। কর্মীরা জেগে উঠেছে, জনগণের আন্দোলনের ঢেউ তৈরি হচ্ছে। আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মাঠে থাকব।তিনি আরও বলেন, “আগস্ট বাঙালির জন্য শোকের মাস, কিন্তু এই শোকের মধ্যেই জন্ম নিচ্ছে একটি নতুন আশা— গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আশাবাদ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরবে।
মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে যুবদল নেতাকর্মীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিএনপির সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এর হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। শ্যামনগরের রাজপথ আজ ঢেকে যায় শ্লোগান, ব্যানার ও নেতাকর্মীদের পদচারণায়। উপজেলা বিএনপি নেতারা বলেন, “আজকের মিছিল প্রমাণ করেছে, যুবদলের শক্তি কেবল বক্তৃতায় নয়, রাস্তায়ও।মিছিলে ছিলেন ১২ টি ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি-সম্পাদক, ও স্বেচ্ছাসেবক দল সহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দও।
অনুষ্ঠান শেষে আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। স্থানীয় জনগণ বলেন, অনেক দিন পর এমন বিশাল রাজনৈতিক জমায়েত দেখলাম। এটা যেন আন্দোলনের আগাম বার্তা।