শামীম আহমেদ পাবনা জেলা
পাবনার সাঁথিয়া শশুর মোজাম্মেল হোসেন মোজাম (৭০) কে পুত্র বধু ফারজানা রুমি কর্তৃক বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভাধীন কলেজ পাড়া গ্রামে।রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মোজামের বাড়ি নাড়িয়াগদাই হলেও বহু বছর ধরে সে সাঁথিয়া কলেজ পাড়াতে বসবাস করতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সাঁথিয়া পৌরসভার কলেজ পাড়া গ্রামের মোজামের ছেলে মিঠুর সাথে গত ৫ বছর আগেে আফরা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুস সামাদের মেয়ে রুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে মানুষিক রোগী ছিল বলে জানান তার পরিবার। সে ঢাকাস্থ মানুষিক ডা: শফিকুলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল। রোববার রাত আটার দিকে হঠাৎ রুমির মানুষিক চাপটা বেশী হয়। শেষে হাতের কাছে বটি দাও দিয়ে শশুর মোজামের পেটে ও পিঠে কোপ দেয়। এসময় তার পেটের ভূড়ি বের হয়ে যায়। এসময় সে তিনি নিজেও নিজেকে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সাঁথিয়া, পরে রাজশাহী হাসপাতালে নেয়ার হলে রাত ৩টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে নিহতের স্ত্রী আজেদা বেগম বলেন, সে মানুষিক রোগী নয়। দাজ্জাল মহিলা। এর আগেও আমাকে একদিন মেরেছিল। তিনি বলেন আমার স্বামীকে খুন করেছে।
ওই বাসার ভা[ড়টিয়া বলেন, আমি আজ ৫ বছর এখানে ভাড়া থাকি। এই বাড়ির মালিকটা খুবই ভাল ছিল। ওই মেয়ের এখানে বিয়ের পর থেকেই শশুর শাশুরীর সাথে মিল নেই। প্রায় সময়ই বিবাদ লেগেই থাকতো। এর আগে একবার শাশুরীকে মেরেছিল। শাশুরী এক কথা বললে ওই মহিলা ১০ কথা শুনিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আমি হাটতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে শশুর আর বেটার বউ ছিল। বাড়ি এসে দেখি বুক থেকে নাভি পর্যন্ত কাটা নাড়ি ভূড়ি মাটিতে পড়ে আছে ওনি ও মাটিতে পড়ে আছে। পরে চিৎকার শুনে সবাই এসে নাড়িগুলো পেটের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে নিহত মোজামের ছেলে মিঠুর সাথে যোগাযোগ করার পাওয়া যায় নাই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ এখনও রাজশাহী থেকে আসে নাই।