এস এম আবুল হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
শ্যামনগর পৌর বি এন পির আহবায়ক শেখ লিয়াকত আলী বাবু ২৬ শে জুলাই সন্ধ্যা ৬ টায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদকর্মীদের সামনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানালেন
আজ তীব্র মনোবেদনা ও শংকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছি।
আমি দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
শুরুতে ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে আমি যুবদল এবং উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছি।
সুসময়ের পাশাপাশি চরম দুঃসময়েও দলের সাথে এতোটুকু বেইমানি করিনি। সেই বিএনপি’র একটি বিপথগামী পক্ষের দ্বারা আজ আমি দারুণভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে আহত।
আপনারা অবগত আছেন যে গতকাল ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় শ্যামনগর পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলকে ঘিরে এক নাক্কারজনক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীসহ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের পাশাপাশি অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাউন্সিলর বানানোর প্রতিবাদ করাই আমিসহ আমার পরিবার এবং কর্মীর সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ এবং ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান জেলা কমিটির সদস্য আশেক-ই এলাহী মুন্নার ইন্ধনে উক্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা বিএনপি’র বিভাজনকে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি নেতৃত্ব দখলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশ এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের গড়পড়তা কাউন্সিলর বানিয়েছে। শুক্রবার কাউন্সিল শুরুর শুরুর মুহূর্তে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করায় আব্দুল ওয়াহেদ এবং মুন্নার অনুসারী বিগত দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িতরা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে।
এ সময় আমাকে ঠেকাতে যেয়ে আমার বেয়াই ড্যাব নেতা ডাক্তার নজরুল ইসলাম সাদিকুল ইসলাম তোহ্যসহ বিএনপি কর্মী আনোয়ার_উস শাহাদাত মিঠু, বাবু ও আশিক মারাত্মকভাবে হামলার শিকার হয়।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনাদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাতে চাই আব্দুল ওয়াহেদ এবং মুন্না শ্যামনগর বিএনপিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। ইতিপূর্বে গত ২৭জুন একইভাবে রমজান নগর বিএনপি’র সার্চ কমিটির নিয়ে আপত্তি তোলায় তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে সেখানকার ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ ও সার্চ কমিটির সদস্য আবু হানিফের উপর নাক্কারজনক বাংলার ঘটনা ঘটায়।
গতকাল ২৫ জুলাই এর মত গত ২৭শে জুন তারিখে আব্দুল ওয়াহেদ ও আশেক-ই এলাহী মুন্নার পেটুয়া বাহিনী জেলা নেতৃবৃন্দের সামনে এমন ঘটনা ঘটালেও অজ্ঞাত কারণে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ব্যবস্থা করা হয়নি।
(প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ)
এ দুই নেতা নিজেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী ছিল। তাদের একজন জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানের বিরোধী হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদ এবং নাশকতা আখ্যা দিয়েছিল। উক্ত মিটিংয়ে বক্তব্য দানকালে শ্যামনগরে কোন আন্দোলন সংগ্রাম হবে না বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর আবারো বিএনপি’র ত্যাগী নেতা সেজে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ অভিপ্রায় বিভাজনের রাজনীতি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা রেখেছে।
তাদের অপকর্মের বিষয়ে তদন্তের পাশাপাশি প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত দুই নেতার পাশাপাশি তাদের অনুসারীপুরে বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আপনাদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কার্যকর ও ন্যায় সঙ্গত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।