হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাতক্ষীরা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার।
সাতক্ষীরার জেলা শ্যামনগর থানার এস আই মুরসালি আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামীকে জামিন পেতে সহযোগিতা করা, মিমাংসা করাতে চেষ্টা করে আসামী গ্রেফতার না করা, মেডিকেল রিপোট কোটে না পাঠানোর সহ বাদীকে সহযোগিতা না করার বিষয়ে মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবর অন লাইনে অভিযোগ প্রতিকার সেবার মাধ্যমে অভিযোগ হয়েছে।
শ্যামনগর থানার শৈলখালী গ্রামের নহর আলী বরকনদাজের পুত্র রাশিদুল বরকনদাজ আজ অন লাইন অভিযোগ প্রতিকার সেবার মাধ্যমে এ অভিযোগটি পাঠিয়েছেন।
অভিযোগে রাশিদুল বলেনঃ-
” আমার ছোটভাই অহেদুল ও ভাতিজা মধু আমাকে মেরে আমার মুখের ৬ টি দাত ভেংগে দেয় এবং দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর যখম করে। আমার জামাতা আলমগীর আমাকে থেকাতে আসলে আসামীরা আমার জামাতার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর যখম করে। এ ঘটনায় আমি শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করি থানার মামলা নং- ২৭ তারিখ ২৩-০৪-২০২৫ জি আর ১১৯/২৫। মামলার তদন্ত ভার এস আই মোরসালিনের উপরে ন্যাস্ত হলে তিনি আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা না করে উল্টো আমাদেরকে মিমাংসা করার জন্য চাপ দেন। যার ফলে থানায় বসাবসি হয় কিন্তু কোন মিমাংসা নাহলে আমি এবং আমার স্ত্রী কন্যা অন্তত ৫০ বার এস আই মোরসালিনকে থানায় গিয়ে আসামী গ্রেফতারের অনুরোধ জানাই কিন্তু তিনি আসামী গ্রেফতার করেননি।অপরদিকে আসামীরা জামিন নেওয়ার জন্য আদালত যোগে মেডিকেল রিপোট পাওয়ার জন্য এস আই মোরসালিনের নিকট আদেশ আসলে তিনি মেডিকেল দিতে দেরি করার কারনে আসামিরা মেডিকেল রিপোট যাওয়া পযন্ত জামিন পেয়ে বাড়ি এসে আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিতে থাকলে আমি শ্যামনগর থানায় ডায়েরী করি। এরপরেও এক মাস অতিবাহিত হলেও তিনি মেডিকেল রিপোট কোটে পাঠাননি। তিনি বলেন আসামী একবার জামিন পেয়ে গেলে কোট অমান্য না করলে আসামীর কিছু হবে না তাই মেডিকেল রিপোট কোটে পাঠানো আর না পাঠানো সমান কথা। ফলে আমরা ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছি এবং আসামীরা আমাদের চরম ক্ষতি করে চলেছে। সেকারনে ঘটনাবলী তদন্ত করে ন্যায় বিচারের আকুল আবেদন জানাচ্ছি”।
অভিযোগের বিষয়ে শ্যামনগর থানার এস আই মোরসালিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাদী আমার কাছে এসে তদন্ত রিপোট চেয়েছে বলে মেডিকেল রিপোট কোটে পাঠানো হয়নি, রিপোটি এখন কালিগঞ্জ সাকেলের অফিসে আছে সেখান থেকে এনে তবে ২/৩ দিনের ভেতর মেডিকেল রিপোট কোটে পাঠাবো।