হাফিজুর রহমান (হাফিজ), সাতক্ষীরা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার।
ভূমি দস্যু সাঈদ মেহেদী সাবেক কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে জমি দখল করা কালিন সমায়ে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে তাদের ব্যবহারিত মোটরসাইকেল রেখে পালায় পরে সেগুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে হস্তক্ষেপ করা হয়,
সাঈদ মেহেদী অত্যান্ত হিংস্র, পরসম্পদলোভী, আইন অমান্যকারী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগের চিহ্নিত ক্যাডার হইতেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন বিবাদীরা স্থানীয় পেশি শক্তির দাপটে ও সন্ত্রাসী বাহিনীদের সহায়তায় এলাকার মানুষের সম্পত্তি জবরদখল করা সহ অসহায় মানুষদের মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় জড়াইয়া হয়রানী করিয়াছে।
অনুরূপভাবে ২০১৩ সালে সাঈদ মেহেদী আমাদের নামে মিথ্যা মামলায় জড়াইয়া নিম্ন তপশীল বর্নিত খরিদকৃত সম্পত্তি জবরদখল করিয়া লয়। আমরা উক্ত সম্পত্তি ফেরত চাহিতে গেলেই সাঈদ মেহেদী আমাদের পিস্তল উচাইয়া প্রান নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। যাহার জন্য তৎকালীন সময়ে আমি কালিগঞ্জ থানা একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পদত্যাগ করার পর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় আমি আমার খরিদকৃত সম্পত্তি বিবাদীদের নিকট হইতে উদ্ধার করিয়া তথায় ভেড়িবাধ দিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করিতে থাকি। উক্ত সম্পত্তি সাঈদ মেহেদী নিকট হইতে বাহির করিয়া লইয়াছি বিধায় বিবাদীরা আমার সহিত শত্রুতা পোষণ করিয়া আসিতেছে এবং এলাকাবাসী বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি করিবার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। গত ইং-১০/০৬/২০২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় সাঈদ মেহেদী ও তার দলবল তপশীলভুক্ত সম্পত্তিতে যাইয়া স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহায়তায় সম্পত্তিতে থাকা ভেড়িবাধ কাটিয়া ক্ষতিসাধন করে। সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে যাইয়া ভেড়িবাধ কাটিতে নিষেধ করিলে এলাকাবাসীর অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, মারপিট করিতে উদ্যত হয় এবং প্রকাশ্য হুমকি দিয়া বলে, ‘তাহাদের কোন কাজে কেউ বাধা দিলে তাহার লাশ ঐখানে পুঁতিয়া রাখিবে’।
এলাকাবাশি যে কোন মূহুর্তে আমাদের জানমালের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করিতে পারে কিংবা বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়াইয়া হয়রানী করিতে পারে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দেয়ের করা হয়েছে