শ্যামনগরে উপজেলা রমজানগর ইউনিয়নের টেংরাখালি গ্রামে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের ভোগ দখলীয় জায়গায় জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় বরকত আলী গাজীর ছেলে মোঃ ফারুক গাজী বাদী হয়ে চার জনকে বিবাদী করে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত বিবাদীরা হলেন টেংরাখালী গ্রামের মৃত ছাকাত আলীর ছেলে মোহাম্মাদ মোল্যা। জয়নাল
মোল্যা। মোস্তফা মোল্যা। আব্দুল্লাহ মোল্যা সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বিবাদীরা একই পরিবারের সদস্য। তাহারা ভাই ভাই ,অতীব দুৰ্দ্দান্ত, দুর্ধর্ষ, অত্যাচারী, কলহপ্রিয়, আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। বাদী ভূমিহীন হিসাবে নদীর চর ভরাটী জায়গায় পরিবার পরিজন নিয়া বিগত ৪০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করিয়া আসছে। বিবাদীরা বাদীকে ঐ জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বাদীর উপর অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। ইতিপূর্বে ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল হামিদ লাল্টু সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মধ্যস্থতায় কয়েক দফায় শালিশ বিচার পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু বিবাদীরা স্থানীয় শালিশ বিচারকে অবমাননা করে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। তার আলোকে গত সোমবার ২৮ অক্টোবর সকল বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা লোকজন পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর বসত বাড়ির ভিতরে অন্যায় ভাবে প্রবেশ করে ছোট বড় ১০/১২ টি গাছ কাটে। তখন বাদীর স্ত্রী মোছাঃ রিজিয়া বেগম বাধা দেওয়ায় ৩নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীগণ এলোপাতাড়ী ভাবে বাদীর স্ত্রীকে মারপিট করে জখম করে। তখন বাদীর স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে এলাকা বাসী আসলে বিবাদীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়, তখন বাদীর স্ত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। চলে যাওয়ার সময় বিবাদীরা প্রকাশ্যে বলে জায় আমাদেরকে ঐ ভিটায় বসবাস করিতে দিবে না। মারপিট ও খুনজখম করবে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। বাদী যাহাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করিতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।