1. info@dailysatkhirdiganta.online : সাতক্ষীরা দিগন্ত : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
  2. info@www.dailysatkhirdiganta.online : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত :
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির নিবেদিতপ্রান নেতা শেখ লিয়াকত আলী বাবু।

ইব্রাহিম গাজী, সাতক্ষীরা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহিম গাজী, সাতক্ষীরা জেলা ক্রাইম রিপোর্টার।

 

সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হায়বাতপুর গ্রামের সম্ভান্ত শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই।তিনি ছিলেন তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। তার পিতা মরহুম ডাঃ শেখ জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়্যারলেস অপারেটর। অবসর জীবনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি গ্রামের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করেন। তার যোগ্য উত্তরসূরী সুযোগ্য পুত্র বিএনপি নেতা শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই।

 

উপজেলার রাজনীতিতে এক নিবেদিতপ্রান নেতার নাম শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই। সেই ১৯৭৬ সালে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর ছাত্র সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পন শেখ লিয়াকত ভাইয়ের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গঠন করলে লিয়াকত ভাই ১৯৭৯ সালে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে শ্যামনগর মহসীন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হন।১৯৮০ সালে তিনি শ্যামনগর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বিপুল সমর্থন নিয়ে তিনি শ্যামনগর থানা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সবাইকে অবাক করে দেন।

 

দক্ষ ও সংগঠনমনা লিয়াকত ভাই শ্যামনগরের প্রতিটি গ্রামে, পাড়া মহল্লায় ছাত্রদলের কর্মী তৈরি করেন। এখনকারমত গালগল্প তৈরি করে, পয়সা খরচ করে, স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে চাপাবাজি করে, নেতাদের তেল মেরে তখন নেতা হওয়া সুযোগ ছিল না। সেই সময় লিয়াকত ভাই ছাত্র সংগঠন গুলোর নিকট প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন, শ্যামনগরে বিপুল পরিচিত পান তিনি। সফল ছাত্রনেতা লিয়াকত ভাইকে ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কঠোর ভূমিকার জন্য সব ছাত্র সংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের শ্যামনগর উপজেলার আহবায়কের দায়িত্ব অর্পন করেন।সেই দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।যার প্রতিটি দলের কাছে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।

 

ছাত্ররাজনীতে চমক দেখানোর পর জেলা বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দের নজরে আসেন শেখ লিয়াকত বাবু ভাই। সেই সূত্র ধরে ১৯৮৯ সালে লিয়াকত ভাইকে শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মনোনিত করা হয়।ঠিক এর এক বছর পর ১৯৯০ সালে তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর্জা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক বাবু গয়েশ্বর রায় এর উপস্থিতে লিয়াকত ভাই শ্যামনগর থানা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত করেন।যা অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে পালন করেন।তার এ সফলতার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮সালে তিনি শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন( বর্তমান পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত) বিএনপির সভাপতি মনোনিত হন। বর্তমানে তিনি শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্মসাধারন সম্পাদকের পাশাপাশি সদ্য গঠিত শ্যামনগর পৌরসভার আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

বর্তমানে হাতেগোনা দুইএকজন বাদে লিয়াকত ভাই শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির প্রায় সবার সিনিয়র নেতা। আর এত দীর্ঘ ও ধারাবাহিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আর কারো আছে বলে মনে হয়না। তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই ২০১১সালে তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিনা ভোটের এমপি জগলুল হায়দারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।এমনকি ২০১৬সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করেন।কিন্তু পতিত স্বৈরাচারী সরকার রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করে তাকে পরাজিত করেন। তিনি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থাকাকালীন অত্যন্ত সফলভাবে, দায়িত্বশীলতার সাথে, সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে কখনো ঘুষ, দুর্নীতি,জবর দখল করেননি।এমনকি কোন মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করেননি।

 

লিয়াকত ভাই শ্যামনগর বিএনপিকে সমৃদ্ধ করেছেন, সংগঠিত করেছেন।শ্যামনগর বিএনপির সফল এক নেতা তিনি। নেই কোন অহংকার, নেই কোন পয়সার নেশা।বরং নেতৃত্ব দিতে গিয়ে,মানুষের সেবা করতে গিয়ে লিয়াকত ভাই পিতার রেখে যাওয়া অনেক সম্পদ ঘুচিয়ে ফেলেছেন।৫ আগস্টের পর শ্যামনগর বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন মাছের ঘের দখল, অন্যের জমি দখল, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পূর্ণ বাসন সহ অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে ভারতে প্রেয়ন, মাদক চোরাচালান মামলা মোকদ্দমার হিয়ারিংসহ নানাবিধ অপকর্মের লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি অবৈধভাবে কোটি টাকা ইনকামে ব্যস্ত সেখানে তিনি নিজের ছোট খাট ব্যবসা দিয়ে নিজের সংসার ও রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে।মানুষের সেবা করা তার নেশা,রাজনীতি তার অবসরের পেশা।

 

জামায়াতে আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত শ্যামনগর উপজেলায় লিয়াকত ভাইয়ের হাত ধরে অগনিত মানুষ বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। শ্যামনগরে ১২ টি ইউনিয়নের সবকটিতে কেউ না কেউ তার হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে আসীন হয়েছেন। তার হাত ধরে উল্লেখযোগ্য যেসব নেতা কর্মী বিএনপিতে পদার্পন করেছেন তারা হলেন নুরনগর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য সদস্য সচিব গোলাম আলমগীর ভাই, নুরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আব্দুল কাদের ভাই,পদ্মপুকুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রয়াত নেতা নুর মোহাম্মদ সরদার,গাবুরা ইউনিয়নের হাবিবুল্লাাহ বাহার, ফজলুল হক, তমিজউদ্দিন মল্লিক, মুন্সিগঞ্জ ইুউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাসার, সাবেক উপজেলা যুবদল সভাপতি আকরাম হোসেন ভাই, বিএনপি নেতা আবু জাবের মোড়ল, কৈখালী ইউনিয়নের আব্দুল মজিদ মেম্বার, মরহুম আনছার সরদার, জাহিদ মৌলভী,বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদ মোল্যা,নুর ইসলাম মোড়ল,অলিয়ার রহমান, বড় খোকন, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়াারম্যান সাদেকুর রহমান ভাই সহ কয়েকশ নেতাকর্মী। কাশিমাড়ী ইউনিয়নের রাজাগুলা বাহার(বর্তমানে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত) ও শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের হাজী রফিকুল,আব্দুল হামিদ,প্রভাষক শহীদ,মরহুম জাহিদ প্রভাষক,আব্দুল আজিজ, দিপক গায়েন,সুকুমার বিশ্বাস,রমেশ কুন্ডু,খান আব্দুস সবুর সহ অগনিত বিএনপি নেতাকর্মী।

 

শেখ লিয়াকত আলী বাবুর পরিবারকে শ্যামনগরের একক সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক পরিবার বলা হয়।বাবা সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতি করে গেছেন।সেই সাথে তার আপন দুই ভাই শেখ রবিউল ইসলাম উপজেলা ছাত্রদল,যুবদল এর পাশাপাশি জেলা যুবদলের সহ সভাপতি এবং বর্তমান ইতালির কালিয়ারি প্রদেশে বিএনপির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।ছোট ভাই শেখ হযরত আলী একাধারে শ্যামনগর কলেজ ছাত্রদল, উপজেলা ছাত্রদল, জেলা যুবদলের সহ সম্পাদক, শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির সিনিয়র সহ সভাপতি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করছেন এবং করে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে তার বড় ভগ্নিপতি জনাব শেখ আব্দুল ওয়াহেদ মাষ্টার দীর্ঘদিন শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমান জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদীয় আসন ০১ (কলারোয়া ও তালার) দায়িত্ব পালন করছেন। বাবার পাশাপাশি তার দুই সন্তান পত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

শেখ লিয়াকত আলী বাবু ছোট ভগ্নিপতি শেখ মাসুদুর রহমান ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সহ উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া তার অন্যান্য আত্নীয় স্বজনরাও সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতি সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত।

 

রাজনৈতিক জীবনে একাধিক মামলা হামলা স্বীকার শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই।১৯৯৯ সালে তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১১ মাস ১৭ দিন জেলে অবস্থান করেন।বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ৩৬ টি রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হন তিনি। এমনকি একাধিক বার তাকে জেল খাটতে হয়েছে।এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ৫ থেকে ৬ বছর বাড়ি থেকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।

 

আমরা শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাইয়ের উত্তরোত্তর মংগল কামনা করি। বর্তমান বিএনপির রাজনীতিতে লিয়াকত ভই আামাদের জন্য অনুকরনীয় আদর্শ।আগামী বিএনপির কাউন্সিলে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই। শুভ হোক তার আগামীর পথচলা।

শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাইয়ের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।

সাবেক শ্যামনগর মহসীন কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি সাবেক শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাবেক শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাবেক শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাবেক সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক শ্যামনগর পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট