শামীম আহমেদ পাবনা
পাবনা সাঁথিয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
রবিবার বিকেলে উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামে মৎস্য অফিসারের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রিজু তামান্না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আতাইকোলা ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামে নাজমুস সাকিব নামের এক ব্যক্তি তার নিজ বাড়িতে অবৈধ চায়না দোয়ারী জালের একটি কারখানা তৈরী করেছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। বিকেল চারটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে কারখানা থেকে জাল তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। ১৯৫০ সালের মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে আসামিকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয় এবং কারখানা মালিককে দশ হাজার টাকা জরিমানা হয়। পরে জব্দকৃত দুই ট্রাক জাল ও তৈরীর সরঞ্জাম জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। সাঁথিয়ায় অবৈধ চায়না দুয়ারির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করায় সর্বমহলের প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না।
সাঁথিয়ায় ২০ লাখ টাকার চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট, জেল-জরিমানা
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ চায়না জালের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া উপজেলায় প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালিত হলেও অদৃশ্য কারনে বেড়া উপজেলায় কোন অভিযানের খবর শোনা যায় নি এ বছর। তবে বেড়া পৌর এলাকায় আট থেকে দশটি অবৈধ চায়না জালের কারখানা রয়েছে। বেড়া বাজারে প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকার অবৈধ এ জাল বিক্রি হয়। এবিষয়ে প্রশাসনকেই দোষারোপ করছেন সচেতন মহল।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন দেশি অনেক প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। প্রাণিজ আমিষ এর সিংহভাগই মৎস্য সম্পদ থেকে আশে। কিন্তু রিং জাল, কারেন্ট জাল প্রজনন মৌসুমে মাছ আহরণ ইত্যাদি কারনে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির দ্বার প্রান্তে। সকল শ্রেণীর জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম হাবিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রিজু তামান্না জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় অবৈধ নিষিদ্ধ চায়না জাল বিক্রি এবং ব্যবহার বন্ধে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।