মোঃশহিদুল ইসলাম, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
সভাপতি ফরিদুল কবীর শামীম, সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।
দীর্ঘ নয় বছর পর শনিবার (২৩ আগস্ট) জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই জেলার সাতটি উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন। তাদের শ্লোগান, ব্যানার ও পোস্টারে জেলা শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়।
সম্মেলনে মোট ১,৫১৫ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন। ভোটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন,
“ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু সরকারের নতুন পদ্ধতিতে কীসের পিআর-টিআর – এটা বাংলাদেশের মানুষ খায় না, দেখে না।”
তিনি আরও বলেন,এবারের নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন। দলের নেতা যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। পদ পেলেই বলবেন না—‘আজকে আমার জ্বর, আজ আমাকে বাদ দিন।’ আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতিতে এ ধরনের অজুহাত চলবে না।”
পিআর পদ্ধতিকে ব্যঙ্গ করে টুকু বলেন,
“ভোট দেবেন সন্দ্বীপে, আর প্রার্থীরা থাকবে মালদ্বীপে—এটা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ভোটাররা তাদের প্রার্থীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে চান, নিশ্চিত হতে চান তার ঠিকানা ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে।”
দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। অনেক নেতাকর্মী জানান, “এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠন আরও গতিশীল হবে এবং আগামী নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।”
সম্মেলনে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি সাবেক সংসদ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও যোগ দেন। পুরো শহরজুড়ে ছিল শ্লোগান, বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে উল্লাস এবং বিজয়ের প্রত্যাশা।