1. info@dailysatkhirdiganta.online : সাতক্ষীরা দিগন্ত : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
  2. info@www.dailysatkhirdiganta.online : দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরা শ্যামনগর খোলপেটুয়া নদী চর ভাঙ্গনে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

আবুজার গাজী, খুলনা বিভাগীয় প্রধান।
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

আবুজার গাজী, খুলনা বিভাগীয় প্রধান।

 

সাতক্ষীরা সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর চর হঠাৎ দেবে যাওয়ায় নদীপাড়ের এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চর দেবে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও ফাটল, যা নদীভাঙনের পূর্বাভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উত্তর ভামিয়া জোমাদ্দার পাড়া সংলগ্ন এলাকার নদীর চরের একটি অংশে প্রায় ৪০০ ফুট চর দেবে গেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার ৩ থেকে ৪ দিন অতিবাহিত হলেও খোলপেটুয়া নদীর ওই এলাকার দীর্ঘদিনের ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। একের পর এক চর দেবে গেলেও শুধুমাত্র পরিদর্শনে সীমাবদ্ধ রয়েছে পাউবোর কার্যক্রম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় উপকূল রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে।

 

স্থানীয় আবুল হোসেন, অহিদ জোমাদ্দার ও সেলিম হোসেনসহ কয়েকজন জানান, গত শনিবার হঠাৎ দেখি চর ধসে গিয়ে বড় গর্ত হয়ে গেছে। মাটি যেন নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে। পাশে থাকা একটি গাছও হেলে পড়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি। এখানে নদরি পাড়ে ৩৫০টি পরিবার বসবাস করে। চর দেবে যাওয়ার পেছনে খোলপেটুয়া নদীর নিচ দিয়ে স্রোতের ধাক্কা ও ভূমি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিও এর অন্যতম কারণ হতে পারে। যত দিন যাচ্ছে আস্তে আস্তে ভাঙন ওয়াপদার দিকে চলে আসছে। ভাঙন স্থানে ৭০ থেকে ৮০ ফুট গভীর হয়েছে দাবি করে তারা জানান দ্রুত এই ভাঙন রোধ করা না গেলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।

 

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, এখনই যদি কাজ শুরু করা না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো জনপদে।

 

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশল মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ বর্তমান বেড়িবাঁধের অবস্থার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙন কবলিত স্থানের জরিপও শেষ হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।

 

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন জানান, চর দেবে যাওয়ার ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট