নিজস্ব প্রতিনিধ:
সাতক্ষীরার আশাশুনি থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের সংবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার একটি আনন্দ মিছিল বের করে প্রতাপনগর দিকে যাওয়ার সময় মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্র আদম (২২) হত্যা ও ছাত্রের পায়ে গুলি সহ একাধিক ছাত্রজনতা উপর হামলার ঘটনায় দায়ের কিতো মামলার ২৪ নাম্বার আসামি শোকর আলী সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি যশোরে। সে প্রকাশ্যে ঘুরে বাড়ালেও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জানাযায়, আশাশুনি থানার ওসির নির্দেশ ওই মামলায় অনেক আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করলেও শোকর আলী রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এলাকাবাসী জানায়, একাধিক মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামি শুকুর আলী (৪০) শ্রমিক লীগের সদস্য, থাকার কারণে সে মাদক কারবারি, চুরি-ডাকাতি, ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী কিছু বললে তাদের অস্ত্র দেখি হুমকি ও মারধর সহ ফ্যামিলির মহিলাদের হে নাস্তা শিকার হতে হয়। সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগ এর সেক্রেটারির প্রকাশ্য মদোদে এহেন কর্মকান্ড চালাই সে।
আরো যানায়, দেভাটা এলাকার এক স্কুল ছাত্রী জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাকে ধরে প্রশাসন এক বছরের সাজা দেয়। এছাড়াও অন্য ঘটনার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে জেল থেকে বের করে আন ওই শ্রমিকলীগ নেতা।
উল্লেখ্য, শোকর আলীর দীর্ঘদিনের সহযোগি মাছুরা বেগম কালিগঞ্জে বিষ্ণুপুরে মধুসুদন কর্মকারের বাড়িতে. ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের সাথে সহযোগী থাকায় লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার পরবর্তীতে তার দ্বারা অজ্ঞাত স্থানে বিক্রয় করে। তদন্তকালে পুলিশি কলাকৌশল প্রয়োগসহ মোবাইল টেকনোলজি ব্যবহার করে কালিগঞ্জ থানার এফআইআর নং-০৪, তারিখ- ০৬ জুলাই, ২০২৫ উক্ত মামলার ঘটনার সাথে মাছুরা বেগমের জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পেয়ে পুলিশ মাছুরাকে গ্রেফতার করে তার সহযোগী শোকর আলীকে আটক করার জন্য অভিজান চালায় থানা পুলিশ।
এ ঘটনার পরে আত্মগোপনে চলে যায় সে, কিছুদিন পরে আবারো সে সক্রিয় হয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী সরকার পতনের পরে, এতো অপকর্ম করার পরেও কোন অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ শুকর আলী।
হত্যা মামলার আসামি শোকর আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।